শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছন থেকে তাদের আটক করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা তাদের আটক করে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন।
মারধরের শিকার বহিরাগত ব্যক্তি হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী (ড্রাইভার) আলমগীর হোসেনের জামাতা মনির সরদার।
আটকরা হলেন- নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ ৪৪তম ব্যাচের সঞ্জয় ঘোষ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ ৪৫ ব্যাচের আল রাজী এবং ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী রায়হান পাটোয়ারী। এদের মধ্যে রায়হান এর আগে ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার হয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মনির সরদার ভোরে বিশমাইল এলাকা দিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। এসময় আটকরাসহ পাঁচজন তাকে ধরে সঙ্গে থাকা নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন। একইসঙ্গে বাইকে করে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে নিয়ে যান। সেখানে তারা তাকে ইয়াবা বিক্রেতা বানানোর চেষ্টা এবং বেধড়ক মারধর করেন। পরে তারা মনিরের স্ত্রীর কাছে ফোনে এক লাখ টাকা দাবি করেন। এরপর খবর পেয়ে মনিরের শ্বশুর বাড়ির লোকজনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী ঘটনাস্থলে যান। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করেন। দুইজন পালিয়ে যান, তিনজন আটক করেন কর্মচারীরা।
মনির সরদারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ছিনতাইকারী হিসেবে অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থী মারধরের কথা স্বীকার করলেও ছিনতাই ও মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ছিনতাই, মারধর ও টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে। আমরা ডিসিপ্লিন বোর্ড বসিয়ে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
টিএ