ধর্ষণের ঘটনার ১৯ দিন পর সোমবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় থানায় মামলা নথিভুক্ত হলে ওই রাতে সাভারের বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট থানার ট্যাংগাপাড়া গ্রামের আজাহার সরদারের ছেলে মিরাজ সরদার (৩২), কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার পীর মাহমুদ গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে মোক্তার হোসেন (২৯), গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার শান্তিরাম গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে মাহবুব হক (৪২), বরিশাল জেলার অগৈলঝড়া থানার পতিহার গ্রামের আক্কাস আলী গোমস্তার ছেলে মতি গোমস্তা (৫৫) ও কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার খামারটগরপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২৪)।
অপরদিকে নীলফামারী জেলার নির্যাতনের শিকার ওই নারী সাভার পৌর সভার আনন্দপুর এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে গৃহকর্মীর কাজ করতেন বলে জানা যায়।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ১০ মার্চ (রোববার) রাতে সাভারের কাতলাপুর এলাকার জেকে গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ওই নারীকে নিকটস্থ রাজাবাড়ী এলাকার আবুল খায়েরের বাড়ির পঞ্চম তলায় ডেকে নেয় মিরাজ সরদার। পরে তাকে একটি কক্ষে আটকে মিরাজ সরদার, মোক্তার হোসেন, মাহবুব, মতিসহ চার জন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় আরও দুই জন দরজার বাইরে পাহাড়া দিতে থাকে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় ধর্ষিতাকে গুম করার ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বাংলানিউজকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের পর আটকদের মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
জিপি