মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) রাজধানীর আফতাব নগর এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন মেয়র।
আফতাবনগরে নগরবাসীর সুবিধার্থে একটি ফুট ওভারব্রিজ স্থাপন করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, এখানে শিক্ষার্থীরাসহ এলাকাবাসীদের অনেকেই রাস্তা পার হন।
খুব দ্রুত ‘নগর অ্যাপস’ আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি অভিযোগ বাক্স স্থাপন করেছি। কিন্তু মানুষ ভয় পায় যে, সে অভিযোগ করে আবার বিপদের সম্মুখীন হবে কিনা। এখানে আমরা পরিচয় গোপন রাখছি, তবুও আরো নিশ্চয়তা দিতে দ্রুত নগর অ্যাপস আসছে। যেখানে সবাই নির্ভয়ে অভিযোগগুলো করবেন এবং আমরা তা বাস্তবায়ন করবো। রাজধানীতে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৪৯ হাজার মানুষ বসবাস করেন। তাদের সবার সমস্যা দূর করা যথেষ্ট কঠিন কাজ বলেও উল্লেখ করেন ডিএনসিসি মেয়র।
এ সময় মেয়র বড় ভবনগুলোতে সিঁড়ির প্রতিবন্ধকতা দূর করার তাগিদ দেন।
রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সংসদ সদস্য একেএম রহমত উল্লাহ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব খায়রুল আলম সবুজ, এলাকার কাউন্সিলর ও অন্যান্য ব্যক্তিরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন।
অভিযানের উদ্বোধন শেষে রাজধানীতে বর্ষাকালের জলাবদ্ধতা দূর করতে ডিএনসিসি’র কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়ে অনেক অভিযোগ আসে। বৃষ্টির জমাটবদ্ধ পানি খালের মাধ্যমেই সরে যাওয়ার কথা। কিন্তু খালে গিয়ে দেখা যায়, খাল ওয়াসার অন্তর্গত, খালের পাড় জেলা প্রশাসকের অন্তর্গত। এখানে সিটি কর্পোরেশন গিয়ে কি করবে? তারপরও জনগণের ভোগান্তির কথা ভেবে আমি নির্দেশনা দিয়েছি। বিশেষ করে মিরপুর থেকে কালশীর দিকে যে খালটি এসেছে সেখানে অসহনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ওয়াসাকে কাজ করতে বলেছি। কাজ না হলে সিটি কর্পোরেশনের যতো সরঞ্জাম আছে সব নিয়ে আমরা যে যে কারণে খাল আটকে আছে দ্রুত তা সব দূর করবো, আমি নিজে উপস্থিত থেকে। আজকেও আমাদের টিম গিয়ে দেখছে ও রিপোর্ট দেবে। রিপোর্ট অনুসারে দু’একদিনের মধ্যে এসব খাল পরিষ্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজেট, সুযোগ-সুবিধাসহ অন্যান্য বিষয়াদি ভাবার সময় এখন না। জনগণের কষ্ট হচ্ছে সেটা আগে দূর করতে হবে।
এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
ড্রেনকে ডাস্টবিন বানাবেন না জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ড্রেন পরিষ্কারের নির্দেশনাও দিয়ে দিয়েছি। ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এগুলো ভরাট হয়েছে। একদিনে তা দূর করা যাবে না। তবে কাজ চলছে। বিভিন্ন খাল ভরাট হয়ে বাড়ি, দোকান, বাজার বসেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশমত আমরা ঢাকার সব খাল ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছি। এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। নদীর মতো করেই খাল উদ্ধার করা হবে। ড্রেনের ময়লা উঠিয়ে আবার ড্রেনের পাশেই রাখা হয়, এটা আমি বরদাসত করছি না। প্রতিদিনের ময়লা প্রতিদিন সরানোর বিষয়টিকে কিভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে সমস্যা নিরসন করা যাবে সে বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
এমএএম/জেডএস