মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোরে ঢাকার আশুলিয়া থেকে তাকে আটক করা হয়। সুজন মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার বেউথা গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুজন তার চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী লতার শরীরে গরম পানি ঢেলে দেয়। এতে লতা চিৎকার ও কান্না-কাটি শুরু করে। পরে খবর পেয়ে লতার বাবা বিশা খা তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে জানান, লতার শরীরের ৩০ ভাগ ঝলসে গেছে।
এ ঘটনায় সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর থানায় লতার বাবা বিশা বাদী হয়ে সুজনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।
এদিকে স্ত্রীর শরীরের গরম পানি ঢেলে দেওয়ার পর থেকেই সুজন বাড়ী থেকে পালিয়ে সাভারের আশুলিয়া তার নিকটতম এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন করে ছিলেন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-অপারেশন) নুর মোহাম্মদ বাংলানিউজকে জানান, ভোরে সাভারের আশুলিয়া থেকে সুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুজন স্ত্রীর গায়ে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানান ওসি-অপারেশন নুর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
কেএসএইচ/আরআইএস/