সেতুর ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারের ওপর “তিন-এ” স্প্যানটি বসানো হবে। দূরত্ব কম হওয়ায় একদিনেই স্প্যানটি বসানো হবে বলে আশবাদী প্রকৌশলীরা।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকৌশলী বাংলানিউজকে বলেন, মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে পিলারের দূরত্ব কম। আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকলে সকাল থেকেই স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হবে। পদ্মাসেতুর কাজ শুরুর দিকে মাওয়া প্রান্তেই প্রথম স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মাওয়া প্রান্তে পিলারগুলোতে সয়েল কন্ডিশন ভালো না থাকায় কাজ পিছিয়ে পড়ে। এরপর কাজ চলতে থাকে জাজিরা প্রান্তে। জাজিরায় সেতুর ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২ নম্বর পিলারে বসেছে আটটি স্প্যান। এছাড়া মাওয়া প্রান্তে সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর অস্থায়ীভাবে একটি স্প্যান বসানো আছে। পদ্মাসেতুর নবম স্প্যানটি বসে ২২ মার্চ। আর দশম স্প্যানটি বসছে ১৯ দিনের মাথায়।
তিনি আরো জানান, প্রস্তুত হয়ে আছে ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলার। চলছে খুঁটিনাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সকালেই ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের এই স্প্যানটিকে নিয়ে যাবে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন। দুপুরের মধ্যেই স্প্যানটি পিলারের ওপর বসানো যাবে বলে আশাবাদী প্রকৌশলীরা।
এছাড়া আজ শেষ হচ্ছে ৬ নম্বর পিলারের পাইল ড্রাইভিং। জাজিরা প্রান্তে স্প্যানগুলোতে বসানো হচ্ছে রেলওয়ে স্ল্যাব ও রোডওয়ে স্ল্যাব। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুতে মোট ২৯৪টি পাইল আছে। যার মধ্যে নদীতে ২৬২টি পাইল বসবে। মূল সেতুর ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ইতোমধ্যে ২৪৭টি পাইলের কাজ শেষ হয়েছে। সেতুতে সম্পন্ন হয়েছে ২২টি পিলার।
উল্লেখ্য, পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের স্প্যান বসানো হবে ৪১টি। দশম স্প্যানটি বসানো হলে স্প্যান বসানো বাকি থাকে ৩১টি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে কাজ শুরু হয় পদ্মাসেতুর। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে চীনেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
আরএ