মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ইসমাইলের মৃত্যুর বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন নিহতের স্বজনরা। ইসমাইল লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর রায়পুর গ্রামের আমান উল্লার ছেলে।
ইসমাইলের স্ত্রী ফেন্সি বেগম বাংলানিউজকে জানান, ১০ বছর ধরে তার স্বামী সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে একটি আবাসিক ভবনের তত্ত্বাবধায়কের কাজ করেন। চার বছর আগে বাড়িতে এসে ছুটি শেষে আবার ফিরে যান। গত ১৩ দিন আগে ইসমাইল রিয়াদ শহরে একটি বাসায় নিজের জন্য রান্না করতে গিয়ে গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হন। এতে তার মুখসহ শরীরের বেশিরভাগ অংশ আগুনে পুড়ে যায়। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সকালে তার বন্ধু আলাউদ্দিন সৌদি থেকে ফোনে জানিয়েছেন ইসমাইল মারা গেছেন।
ইসমাইলের মৃত্যুর সংবাদে স্ত্রী ও সন্তান কান্না ভেঙ্গে পড়েন। পরিবারের একমাত্র উপার্জক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে এখন পাগল প্রায় ইসমাইলের পরিবারের সদস্যরা।
রায়পুর উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আমির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, স্বজনদের কাছ থেকে ইসমাইলের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন। দ্রুত মরদেহ দেশে আনতে ইসমাইলের স্ত্রী ও সন্তান দাবি জানিয়েছেন।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিল্পি রানী রায় বাংলানিউজকে বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানানো হবে। নিহত প্রবাসীর মরদেহ দেশে দ্রুত ফিরিয়ে আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
এসআর/আরআইএস/