মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) বিকেলে ফেনী সদর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। নিহত শুভ ও আসামি ইমন দু’জনই স্থানীয় মাদার কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
জবানবন্দিতে প্রধান আসামি ইমন জানায়, গত ৩০ মার্চ একটি মেয়ের মোবাইল নম্বর চেয়ে শুভ’র সঙ্গে ইমনের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইমনের মাকে জড়িয়ে গালিগালাজ করলে বিরোধ চরমে গিয়ে পৌঁছে। এর পরদিন ৩১ মার্চ বিকেলে শুভকে তার বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে এনে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা এলাকার কলাবাগানে নিয়ে ছুরি দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে হত্যা করে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করেছে। পরে জবানবন্দি শেষে গ্রেফতার ইমনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। গ্রেফতার ইমন পাঁচগাছিয়ার মধ্যম মাথিয়ারা গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে।
ফেনী মডেল থানার (ওসি-তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আদালতে ১৬৪ ধারায় জিজ্ঞাসাবাদে ইমন তার সহপাঠী শুভকে নিজ হাতে খুন করেছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা এলাকায় নিখোঁজের সাতদিন পর গত রোববার ভোরে আরাফাত হোসেন শুভ’র অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুভ ও ইমন স্থানীয় মাদার কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র। এ ঘটনায় নিহত শুভ’র মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
এসএইচডি/এএটি