সকালে মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যান নিয়ে রওয়া হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যা স্পটে পৌঁছায় সকাল ৯টা ২৮ মিনিটের দিকে।
মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারের উপর বসবে ‘তিন-এ’ স্প্যানটি। আর এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর দেড় কিলোমিটার (১৫০০ মিটার)।
এর আগে বুধবার সকাল ৮টা ৩২ মিনিটের দিকে ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানকে তিন হাজার ৬০০টন ধারণ ক্ষমতার তিয়ান ই ভাসমান ক্রেনটি বহন করে নিয়ে রওয়ানা করে। ওই সময় সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছিলেন, স্প্যানটি পৌঁছাতে ৪০-৪৫ মিনিট লাগবে।
পদ্মাসেতুর এক প্রকৌশলী বাংলানিউজকে বলেন, স্প্যানটি যাত্রা শুরু করেছে। আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকলে স্প্যানটি পৌঁছানোর পর বসানোর কার্যক্রম শুরু হবে৷ এবার দূরত্ব কম হওয়ায় আজ দুপুরের মধ্যেই বসানো সম্ভব হবে।
‘জাজিরা প্রান্তে স্প্যান বসানোর ক্ষেত্রে একদিন আগে থেকেই দূরত্বের কারণে রওয়ানা হতো স্প্যান৷ তবে এবার অন্যান্য স্প্যান বসানোর সময়ের হিসাবে খুব কম সময়েই বসতে যাচ্ছে এই স্প্যানটি। আবহাওয়াজনিত কারণে একটু বিলম্ব হয় রওয়ানা দিতে। ’
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুতে মোট ২৯৪ টি পাইল আছে। নদীর মধ্যে ২৬২টি পাইল, মূল সেতুর ২৯৪ টি পাইলের মধ্যে ইতোমধ্যে ২৪৭ টির কাজ শেষ হয়েছে।
২৯৪ টি পাইলে মোট ৪২ টি পিলার থাকবে। সম্প্রতি শেষ হয়েছে সেতুর ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের পাইল ড্রাইভিংয়ের কাজ।
দশম স্প্যানটি বসানো হলে স্প্যান বসানো বাকি থাকে ৩১টি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে কাজ শুরু হয় পদ্মাসেতুর। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে চীনেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯/আপডেট: ১০২৩ ঘণ্টা
এমএ/