সরকার হাওরবাসীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার ধারাবাহিকতায় মোহনগঞ্জ টু গাগলাজুড় তথা হাওরের বুক চিরে চলে যাওয়া পাকা সড়কটি সাড়ে ৩ কোটি টাকায় সংস্কার করে।
অথচ চলতি বছরের মার্চ মাসে এ সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হয়।
স্থানীয়রা যা দেখে রীতিমতো অবাক। সবার মুখে একটাই প্রশ্ন ‘কি করে সম্ভব? তবে গেলো কোথায় সরকারের এতো টাকা?’
কৃষকদের পাশাপাশি সড়ক সংস্কারের কাজের শুরু থেকেই গুণগত মান নিয়ে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন জনপ্রতিনিধিরা। এমন মন্তব্য করে গাগলাজুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বাংলানিউজকে জানান, অভিযোগের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা ভ্রুক্ষেপ না করায় কোনো সুফল আসেনি। ফলে যেমন-তেমন করেই শেষ হয় সংস্কার কাজ। ফলে ঠিকাদার ঘরে না ফিরতেই আবারো ভেঙে যায় সড়ক।
কথা বলার একপর্যায়ে চেয়ারম্যান হাবিব বলেন, ‘সড়ক তো ভাঙেনি ভেঙেছে স্থানীয় কৃষকদের কপাল’।
এদিকে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ফসল ঘরে তোলার ঝুঁকিতে চরম দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে এ অঞ্চলের হাজারো কৃষক। তেতুঁলিয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক নূর মোহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, সড়কটি দিয়ে যানবাহন দূরে থাক মানুষই চলাচল করতে পারছে না। কাদায় একাকার হয়ে পড়েছে। আটকে যাচ্ছে যানবাহন আর পা ফেললে মানুষ।
কৃষক রহমত মিয়া সড়কের অচলাবস্থা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা আর ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলানিউজকে বলেন, দেশের খাদ্য চাহিদায় ভূমিকা রাখছে নেত্রকোণার হাওরাঞ্চলের কৃষক। প্রকৃতি অনুকূল থাকাবস্থায় ফসল ঘরে তুলতে না পারলে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেবে। যা দেশের ওপর প্রভাব পড়বে। অতএব যতদ্রুত সম্ভব সময় থাকতে তেঁতুলিয়া-গাগলাজুড়ের ডুবন্ত সড়কটির ভাঙা ৭ কিলোমিটার ঠিক করা হোক।
এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিডি) নেত্রকোণার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামানের দাবি কাজের গুণগত মান বজায় রাখতে কোনো আপস করা হয়নি। সড়কে অতিরিক্ত প্রেশার পড়ার কারণে এমনটি হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কটি আবারো সচল করে দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
আরএ