বুধবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে ওই মেডিকেল বোর্ডের প্রধান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম বাংলানিউজকে জানান, দগ্ধ মেয়েটির সবশেষ চিকিৎসার আপডেট আমরা সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আশা করি দুপুরের পরপরই এর ফিডব্যাক পাবো।
তবে অধ্যাপক আবুল কালাম আবারও বলেন, গতকাল থেকে একটু ভালো হলেও যে কোনো সময় যে কোনো ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সেই ছাত্রীকে এখনো লাইফ বার্ন ইউনিটের দ্বিতীয় তলায় লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) ওই ছাত্রীর ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান আগে দেয়া এজাহার পরিবর্তন করে আটজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাকে।
আসামিরা হলেন- মামলার প্রধান আসামি সোনাগাজী ইলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ এস এম সিরাজ উদদৌলা, ইংরেজির প্রভাষক আবছার উদ্দিন, পৌর কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম মাকসুদ, ছাত্র শাহদাত হোসেন শামীম, সাবেক ছাত্র নুর উদ্দিন, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহমেদ, হাফেজ আব্দুল কাদের।
এর মধ্যে বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে এজাহারভুক্ত আসামি জোবায়ের আহমেদকে গ্রেফতার করা হযেছে।
গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষায় অংশ নিতে কেন্দ্রে গেলে ওই ছাত্রীকে ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নেয়ার চাপ দেয় মুখোশধারী ৪/৫জন।
কিন্তু অস্বীকৃতি জানালে মেয়েটির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
পরে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে ওই মেয়েটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তবে এই অবস্থায় তার প্লেন ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঢামেক বার্ন ইউনিটেই চিকিৎসা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
এজেডএস/এসএইচ