বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাটকোর সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ১ এপ্রিল থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন চালানো বন্ধ করে ডাউন লিংক করার সময় ক্লিন ফিড প্রতিষ্ঠার সময় ঠিক করেছিলো সরকার।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, লাইসেন্স নিয়ে বাংলাদেশে ব্যবসা করতে হলে এ দেশের আইন মেনেই করতে হবে। তা নাহলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। দুই বছরের কারাদণ্ড হবে, অর্থদণ্ড হবে। উভয়দণ্ডও হতে পারে। এটাই সরকারের অবস্থান। প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান। কারণ আমি সব কিছু প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেই করি, তার নির্দেশে করি।
দুই প্রতিষ্ঠানকে উদ্দেশ্য করে ড. হাছান বলেন, তারা কেবল দেশি নয়, আইন অনুযায়ী কোনো বিজ্ঞাপনই প্রচার করতে পারবে না। কেবল বাংলাদেশই নয়, ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মধ্যপ্রাচ্য, আরব বিশ্ব, ইউরোপ, ওশানিয়ান দেশগুলোতেও এই আইন প্রচলিত রয়েছে। গত ১৩ বছর আইন থাকার পরেও তা লঙ্ঘন করে বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে।
‘দেশে বিশ্বমানের শিল্পী, কলাকুশলী থাকার পরও অনেকে বিদেশে সেকেন্ড গ্রেডের বিজ্ঞাপন বা অনুষ্ঠান বানানো হচ্ছে। এটা ঠেকাতে ব্যবস্থা নেয়া হবে,’ বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, টেলিভিশন সম্প্রচার আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল করতে কেবল নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সভায় অঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে টেলিভিশন মালিকরা সভায় যোগ দিয়ে তাদের দাবি দাওয়া জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
আরএম/এমএ