বুধাবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাতজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও চার জনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় মামলাটি করেন দগ্ধের বড় বোন রত্না আক্তার।
মামলায় প্রতিবেশী রবিনকে করা হয়েছে প্রধান আসামি।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার উত্তর বাখননগর ইউনিয়নের লোচনপুর গ্রামের বিপ্লবের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ চারজন হলেন- উপজেলার লোচনপুর গ্রামের সামসুল মিয়ার মেয়ে রত্না ও বিপ্লবের ছোট বোন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী প্রীতি আক্তার (১১), এসএসসি পরীক্ষার্থী মুক্তামণি (১৬), অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুইটি আক্তার (১৩) ও দগ্ধ অন্যজন তাদের ফুফু খাতুন্নেছা (৬০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রত্নাদের সঙ্গে প্রতিবেশী শিপন, কাজলদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেশী দুলাল মিয়া হত্যা মামলার মিথ্যা আসামি করা হয় তার দুই ভাই সোহাগ ও বিপ্লবকে। এখন তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এরপর থেকে প্রতিপক্ষরা নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তার পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে মামলা না থাকায় সোমবার (৮ এপ্রিল) ফুফুকে নিয়ে বিপ্লবের তিন বোন নিজ বাড়িতে আসেন। এর মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোরে পাশের বাড়ির শিপন, কাজল, রবিন, লোকমানসহ কয়েকজন পেট্রোল বোমা মেরে তাদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এতে তিন বোন ও এক ফুফুসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে খাতুন্নেছার ১২ শতাংশ, প্রীতির ১৫ শতাংশ, মুক্তামণির ১০ শতাংশ ও সুইটির ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কবির এ তথ্য নিশ্চিত বাংলানিউজকে বলেন, দগ্ধদের বড় বোন রত্না বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা দুইজনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
** নরসিংদীতে আগুনে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
এসআরএস