বুধবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় গণহত্যা জাদুঘরে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।
প্রতিমন্ত্রী জাদুঘরের প্রত্যেকটি গ্যালারি ঘুরে ঘুরে দেখেন।
তিনি জাদুঘর পরিদর্শনকালে পরিত্যক্ত ভবন দেখে মন্তব্য করেন, জাদুঘরের নিদর্শনগুলি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
‘এ গণহত্যা জাদুঘর আমাদের ১৯৭১ এর ইতিহাসকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পৌঁছে দেবে। আমাদের মধ্যে মানবতাবোধ জাগ্রত করবে। গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলবে। ভবিষ্যতে আর কোথাও যেন এমন অপরাধ সংঘটিত না হয় তা নিশ্চিত করতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করবে। ’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাদুঘরের জরাজীর্ণ ভবন ভেঙে নতুন ভবন করা হবে। শুধু তাই নয়, গণহত্যা জাদুঘর ও আর্কাইভের কর্মকাণ্ডে সব সময় সহায়তা করবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
জাদুঘর পরিদর্শন শেষে দুপুরে প্রতিমন্ত্রী খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত নিউজপ্রিন্ট মিল গণহত্যার স্মরণে গণহত্যা জাদুঘর নির্মিত শহীদ স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে মুনতাসীর মামুন বলেন, এ জাদুঘরের অধীনে বধ্যভূমিতে ৩০টি স্মৃতিফলক, ২০ জেলায় গণহত্যা জরিপ, ৮০টি গণহত্যা নির্ঘণ্ট প্রকাশ ও ১৫০ জন গবেষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, আর্কাইভে মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত প্রায় ৯ হাজার ছবি ও দুষ্প্রাপ্য পত্র-পত্রিকা রক্ষিত রয়েছে। এই জাদুঘরই প্রথম ডিজিটাল জেনোসাইড ম্যাপ তৈরি করেছে এবং এসব ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। সঞ্চালনা করেন ট্রাস্টি শংকর মল্লিক।
বাংলাদেশসময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
এমআরএম/এএ