পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন করতে এরই মধ্যে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, নেত্রকোণা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রকল্পের আওতায় খনন কাজ সম্পন্ন করা হবে।
খননের জন্য নির্বাচিত নদী ও খালের মধ্যে রয়েছে, কলমাকান্দা উপজেলার মহাদেও নদী, দুর্গাপুর উপজেলার বেলতলী খাল, পূর্বধলা উপজেলার কোকখালী খাল, মদন উপজেলার ডুরন্দরের খাল, মোহনগঞ্জ উপজেলার সাপমারা খাল, কেন্দুয়া উপজেলার বারলা খাল ও জেলা সদরের কাছিম খাল।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ওইসব এলাকার ফ্লাস ফ্লাড, অতিবৃষ্টি বা বন্যার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা হবে। ক্ষতির হাত থেকে নাগরিকদের জানমাল রক্ষাসহ কৃষকদের ফসল রক্ষা পাবে।
এর ধারাবাহিকতায় মৎস্য-শস্য উৎপাদন সহজ ও বৃদ্ধি পাওয়াসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়ে দারিদ্র্য বিমোচনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। নেত্রকোণা জেলায় ২০৮টির মতো ছোট-বড় নদী ও খাল রয়েছে বলে যোগ করেন প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান।
এদিকে প্রকল্পের নদী ও এসব খাল খননে ব্যয় সম্পর্কে তিনি আরো জানান, মহাদেও নদী (৪ কোটি ৫৬ লাখ), বেলতলী খাল (১ কোটি ৫৪ লাখ), কোকখালী খাল (১ কোটি ৮ লাখ), ডুরন্দরের খাল (২ কোটি ২৩ লাখ), সাপমারা খাল (৪ কোটি ২৮ লাখ), বারলা খাল (৫৮ লাখ) ও জেলা সদরের কাছিম খালে (১ কোটি ৪৬ লাখ) টাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
২০২০ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার পর এলাকার মানুষ এর সুফল ভোগ করবেন বলে জানান পাউবোর ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
আরএ