বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে গৃহবধূ রাশিদা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী রফিউল আলম এ দণ্ডাদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন কুড়িগ্রাম পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম আব্রাহাম লিংকন এবং আসামিপক্ষে ছিলেন এরশাদুল হক চৌধুরী শাহীন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বেলদহ (কালিরহাট বাজার সংলগ্ন) জিয়ালির ছেলে জামাল উদ্দিনের (২৮) সঙ্গে নাগেশ্বরী উপজেলার বদলীটারী গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে রাশিদা বেগমের ২০১০ সালের আগস্ট মাসে বিয়ে হয়। জামাল উদ্দিনের সঙ্গে তার ভাবি ছাবিয়া বেগমের পরকীয়া সম্পর্কের কারণে এ থেকে সৃষ্ট দ্বন্ধের জেরে ২০১১ সালের ১ মার্চ রাশিদা বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রমাণের চেষ্টা করে জামাল।
পরদিন ২ মার্চ ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি হত্যা মামলা করে নিহতের বাবা মকবুল হোসেন, তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম ও ছেলে শহিদুল ইসলাম।
কুড়িগ্রাম পাবলিক প্রসিকিউটর ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এস এম আব্রাহাম লিংকন বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আসামি জামাল উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
এফইএস/জেডএস