বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে সুন্দরবনের হারবাড়িয়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।
নিতরা হলেন- মোংলা উপজেলার উত্তর মালগাছি গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে মো. শাহ আলম শেখ (৫০) ও খুলনার লবনচোরা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে জুয়েল (৩৫)।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে হারবাড়িয়া এলাকায় টিএসপি সারবাহী ‘এমভি হারদ্দা’ ও শ্রমিকবাহী লঞ্চ ‘এমএল আক্তার’ডুবে যায়। এতে ওই দুই নৌযানের তিনজন নিখোঁজ হন।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মাসুদ সরদার বাংলানিউজকে বলেন, ডুবে যাওয়া কার্গো ও লঞ্চ উদ্ধারে অভিযানের সময় সকালে ওই দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত বাগেরহাটের কাশেমপুর গ্রামের শেখ লতিফ নামে একজন শ্রমিক নিখোঁজের হওয়ার খবর রয়েছে।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. জোছেল রানা বলেন, সকালে কার্গো ও লঞ্চ উদ্ধারে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে অভিযান শুরু করেছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনার মোংলায় হারবাড়িয়া এলাকায় সগির খালের কাছে কালবৈশাখী ঝড়ে ডুবে যাওয়া লঞ্চ ও কার্গো হারদ্দাকে শনাক্ত করেছে নৌবাহিনী জাহাজ অগ্রদূত।
সাইডস্ক্যান সোনার প্রযুক্তি ব্যবহার করে লঞ্চ ও বার্জটিকে শনাক্ত করা হয়। জাহাজ দুইটি আনুমানিক ২০ মিটার পানির নিচে অবস্থান করছে। নৌযান দুইটি উদ্ধারে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ অগ্রদূত ও তিস্তা তল্লাশি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ডুবুরি দল ওই ঘটনায় নিখোঁজ একজনকে উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
** ঝড়ের কবলে পড়ে সুন্দরবনে কার্গোডুবি, নিখোঁজ ৩
** ডুবে যাওয়া কার্গো ও লঞ্চের স্থান শনাক্তে অভিযান শুরু
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
এসআরএস