গত কয়েকদিন ধরে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে সান্ত্বনা দিয়ে তিনি নীরবে কেঁদে চলেছেন। এবার আর কান্না ধরে চেপে রাখতে পারেননি।
তার সেই নিদারুণ কষ্টের কথা বলে হাউমাউ করে কান্না করছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মর্গের সামনে নুসরাত জাহান রাফির বাবা মুসাকে এভাবেই দেখা যায়।
তিনি বলেন, যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হোক। তাহলে আমার নিষ্পাপ মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি যথাসময়ে আমার মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাওলানা এ কে এম মুসা বলেন, আসামি কারা এটা আপনারা ভালো করেই জানেন। ইতোমধ্যে অনেক পত্রিকায় তাদের নাম প্রকাশিত হয়েছে। সবার কাছেই দৃশ্যমান। পুলিশ প্রশাসন যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে, তাহলে জড়িতদের বের করতে পারবে।
এর আগে পাঁচদিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যু হয়।
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা।
ওই ছাত্রীর পরিবারের ভাষ্যে, ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তারই জেরে মামলা করায় নুসরাতকে আগুনে পোড়ানো হয়। ওই মামলার পর সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার চিকিৎসায় গঠিত হয় ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
এজেডএস/এএটি