শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন পিবিআই ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মনিরুজ্জামান।
গ্রেফতারের পর তাকে ফেনীতে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নুসরাত হত্যার প্রধান আসামি বারবার খোলস বদলানো ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার নিজস্ব বলয়ের অন্যতম সদস্য শামীম। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের একজন। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল এই ছাত্রলীগ নেতা।
নুসরাতের ভাই নোমানের দায়ের করা মামলার নামীয় আসামিরা হলেন- অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদদৌলা, পৌর কাউন্সিলর মকসুদুল আলম, প্রভাষক আবছার উদ্দিন, মাদরাসা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শামীম, সাবেক ছাত্র নুর উদ্দিন, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহম্মদ ও হাফেজ আবদুল কাদের।
এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা সাত দিনের রিমান্ডে আছেন। এছাড়া ওই মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবছার উদ্দিন এবং নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নুর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, নুসরাতের সহপাঠী ও মামলার প্রধান আসামি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি ও আরেক মাদরাসা শিক্ষার্থী জোবায়ের আহমেদের পাঁচদিন করে রিমান্ড চলছে।
নুর উদ্দিনকে শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো পলাতক রয়েছেন শুধু হাফেজ আবদুল কাদের।
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদরাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এর আগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানীর মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।
পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত মারা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
এসএইচডি/এএ