ঢাকা, সোমবার, ১৩ মাঘ ১৪৩১, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সাহিত্য-সংস্কৃতি বাঁচাতে হলে দেশের নদীগুলো বাঁচাতে হবে

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
সাহিত্য-সংস্কৃতি বাঁচাতে হলে দেশের নদীগুলো বাঁচাতে হবে বক্তব্য রাখছেন নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধূরী/ছবি: বাদল

ঢাকা: ইরানি বর্ষ নওরোজ ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকার ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।

আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ইরানি ভিজিটিং প্রফেসর ড. কাযেম কাহদুয়ী এবং বিশিষ্ট নাট্য পরিচালক ও অভিনেতা মামুনুর রশিদ।

আলোচনায় নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হলে দেশের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। সবকিছু ইট পাথর দিয়ে ঘেরা হয়ে গেলে আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি দুর্বল হয়ে যাবে। সাহিত্য-সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হলে প্রকৃতিকে বাঁচাতে হবে, নদীকে বাঁচাতে হবে, আমাদের গ্রামগুলোকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশ সরকার আবহমান গ্রাম বাংলার প্রকৃতি মেলে ধরার জন্য, রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। আপনারা যারা ঢাকার মানুষ তারা দেখতে পেরেছেন, আমরা বড় একটি চ্যালেঞ্জ নিয়েছি।

তিনি বলেন, ঢাকার নদীগুলোকে দখল করা হয়েছিল, তার নাব্য নষ্ট হয়ে গিয়েছিল; নদী দূষণ হয়েছিল। আমরা ইতোমধ্যে একটা মহাপরিকল্পনা নিয়েছি পাঁচ, তিন ও দুই বছর মেয়াদী। বুড়িগঙ্গা, বালু, শীতলক্ষ্যা ও তুরাগের পুরনো আবহ আমরা ফিরিয়ে আনবো। জনসমর্থন ছাড়া কোনো কাজ হয় না।  

‘আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রকৃতিকে রক্ষা করা; বাংলাদেশের নদীগুলোকে রক্ষা করা। সেখানে আপনার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। আমরা নতুন বর্ষে আপনাদের কাছে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ’

ইরানি নওরোজ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, পারস্য সাহিত্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ইরান খুব মেধাবী একটি দেশ, মেধাবী একটা জাতি। পারস্য সংস্কৃতি ধরে রেখে সমগ্র পৃথিবীর সঙ্গে একটি সাংস্কৃতিক আবদ্ধ তৈরি করতে চায়। তাদের এ পদক্ষেপকে বাংলাদেশ সব সময় স্বাগত জানায়।  

অন্য বক্তারা বলেন, নওরোজ ইরানিদের সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলোর অন্যতম যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ধর্ম,বর্ণ, ভাষা নির্বিশেষে ইরানিদের একে অপরের কাছে টেনেছে। ইরানি জনগণের সংস্কৃতিতে নওরোজ বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান ও নিদর্শনে পরিপূর্ণ এবং এটি ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসব হিসেবেও বিবেচিত।

তারা বলেন, নওরোজ ও পহেলা বৈশাখের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ সাযুজ্য রয়েছে। বেশ কাছাকাছি সময়ের ব্যবধানে ইরান ও বাংলাদেশে বসন্তকালের আগমন ঘটে। ইরানে নওরোজ ২১ মার্চ, আর বাংলাদেশে নববর্ষ উদযাপিত হয় ১৪ এপ্রিল।  

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক পর্বে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা এবং সাহিত্য বিভাগের সাংস্কৃতিক দল। তারা বিভিন্ন গান ও নৃত্যের মাধ্যমে দুই দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।