শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) দিনগত রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার উকতো গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শকসহ তিনজন আহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।
নিহত রুহুল আমীন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শান্তিপাড়ার মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদে জানা যায় একদল মাদকব্যবসায়ী উকতো গ্রামের মধ্য দিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচার করবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার একটি টহল দল ওই এলাকার একটি বাঁশ বাগানে অবস্থান নেয়। রাত দুইটার দিকে ৭/৮ জন মাদকব্যবসায়ীর একটি দল মাথায় করে বস্তাভর্তি মাদক বহন করছে। এসময় তাদের চ্যালেঞ্জ করা হলে পুলিশের উপর অতর্কিত গুলি চালায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বাংলানিউজকে বলেন, নিজেদের রক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। প্রায় ১৫ মিনিট গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে মাদকব্যবসায়ীরা পিছু হটে। এসময় স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী রুহুল আমীন। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসময় মাদক ব্যবসায়দের গুলিতে আহত হয়েছেন উপ-পরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, দুই রাউন্ড গুলি, দু’টি ধারালো হাসুয়া ও এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছে বলে জানান তিনি।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) জানান, নিহত রুহুল জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী। তার নামে জেলার বিভিন্ন থানায় ১৬টি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
এএ