বৈসু উপলক্ষে সকালে ত্রিপুরা তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ খাগড়াছড়ি খালে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্য ফুল ভাসিয়ে সুখ ও শান্তি কামনা করে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে নদী, খাল, পুকুরে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে ফুল ভাসানো হয়।
শনিবার চাকমা জনগোষ্ঠীর বিজু উৎসবের দ্বিতীয় দিন। অর্থ্যাৎ মূল বিজু। এই দিন ঘরে ঘরে চলে অতিথি আপ্যায়ন। পরিবেশন করা হয় প্রায় ৩০ রকমের সবজি দিয়ে তৈরি বিশেষ পাঁজনসহ নানান সুস্বাদু খাবার।
উৎসব ঘিরে চলছে মারমা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী ‘দ’ এবং ‘আলারি’ খেলা। রোববার (১৪ এপ্রিল) থেকে সাংগ্রাই, আক্য, আতং ও আতাদা নামে মারমা জনগোষ্ঠীর ৪ দিনব্যাপী উৎসব শুরু হবে।
উৎসবকে ঘিরে গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামে আনন্দ ঘর পরিবেশ বিরাজ করছে। উৎসব দেখতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা খাগড়াছড়িতে ভিড় করেছেন।
চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর উৎসবের প্রথম আদ্যক্ষর দিয়ে বৈসাবি উৎসব নামকরণ করা হলেও পাহাড়ে থাকা অন্য জাতিগোষ্ঠীও ভিন্ন ভিন্নভাবে এই উৎসব পালন করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
এডি/জিপি/এইচএ/