মঙ্গলবার (৭ মে) দিনগত রাতে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. রমজান মাহমুদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. রমজান মাহমুদ বলেন, ময়নাতদন্তে ধর্ষণ ও আঘাতজনিত কারণে ওই তরুণীর মৃত্যুর আলামত মিলেছে।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড ওই তরুণীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। পরে রাতেই তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে তানিয়ার বড় ভাই মরদেহ বুঝে নেন।
এর আগে কটিয়াদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পার্থ শেখর ঘোষ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করেন। এতে তানিয়ার গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) রাতে তানিয়া ঢাকা থেকে বাসযোগে বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলার গজারিয়া-জামতলী নামক স্থানে তিনি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
এ ঘটনায় বাসের চালক নূরুজ্জামান (৩৯) ও হেলপার (সহকারী) লালন মিয়াসহ (৩৩) মোট পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা বলছেন, সব যাত্রী নেমে যাবার পর তানিয়া নিজেকে একা দেখে চলন্ত বাস থেকে দৌড়ে নেমে যাচ্ছিলেন। এ সময় হেলপার বাধা দিলে তিনি বাস থেকে লাফিয়ে পড়েন।
নিহত তানিয়া উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১৯
ওএইচ/