তিনি অর্থবছরের পরিবর্তন করার বিষয়টি বিবেচনার আবেদন করেন। নতুন অর্থবছরের শুরু হয় ভরা বর্ষা মৌসুম জুলাই মাসে।
শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আলোচনায় এসব কথা বলেন বিরোধীদলীয় উপনেতা।
তিনি বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যেক দেশেই আছে। বড় বড় ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের জন্য সরকার এই সুযোগ করে দেয়। আমাদের এখানে যাদের কালো টাকা আছে, তাদের এই সুবিধা দেওয়া হোক। তা না হলে টাকা বিদেশে নিয়ে যাবে। তারা যাতে বিনিয়োগ করতে পারেন সে সুযোগ করে দিন।
বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের সুবিধা করে দেওয়া এবং নারীদের বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য মেয়েদের জন্য একটি ব্যাংক করে দিন। একই সঙ্গে প্রত্যেকটি উপজেলায় এই ব্যাংকের শাখা করে দিন। যাতে নারী উদ্যোক্তা বাড়বে, স্বনির্ভরতা বাড়বে।
রওশন এরশাদ বলেন, ধান নিয়ে এবার কৃষকের মাথায় হাত। তারা ধান পুড়িয়ে দিলো। এটা কেন হলো কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চাই। কৃষকদের ভর্তুকি দিয়ে এই সমস্যা সমাধান করবেন। যুক্তরাজ্যসহ উন্নত দেশগুলো কৃষকদের ভর্তুকি দেয়। যেমন করেই হোক আমাদের কৃষকের বাঁচার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের অর্থায়নে বাজেট করতে হবে। অন্যের উপর নির্ভর না করি। কতটুকু আয় করতে পারবো, কতুটুকু কর আদায় করতে পারবো। এসব বিষয় মাথায় রেখে বাজেট দিতে হবে। স্বপ্ন থাকবে কিন্তু সেই স্বপ্ন কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবো সেই সামর্থ্যটাও দেখতে হবে। আয় বুঝে ব্যয় করার পরামর্শ দেন রওশন এরশাদ।
বক্তব্যের শুরুতেই রওশন এরশাদ জাপা চেয়ারম্যানের অসুস্থতার খবর জানিয়ে সবার কাছে দোয়া চান। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালোর দিকে। আমি আশা করবো উনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন। এজন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৯
এসকে/এসই/জেডএস