সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে, যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৩ দশমিক ৬৫ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (ডেঞ্জার লভেলে ১৩ দশমিক ৩৫)।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলার মনসুর নগর ইউনিয়নের শালগ্রাম এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে সুমন নামে ১০ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বন্যা কবলিত এলাকার জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত তিনদিন ধরে নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। ফলে জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী অন্তত ৩৫টি ইউনিয়নে শতাধিক গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। ভয়াবহ বন্যার আতঙ্কে রয়েছে নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ।
সিরাজগঞ্জ পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কে এম রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধির তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, যমুনা নদীর উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টা পানি কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। এতে করে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে আরও তিনদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মতে বন্যায় যমুনার চরাঞ্চলের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে পানিবন্দি মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য ৩০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশে সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
জিপি