সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রংপুর সেন্ট্রাল রোডে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার নেতাদের জরুরি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এজন্য দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীসহ এরশাদভক্তরা প্রয়োজনে আন্দোলনে মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানানো হয়।
দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর মহানগরের সভাপতি সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের শীর্ষ নেতারা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
বক্তব্যে নেতারা বলেন, জাতীয় পার্টিকে দাবিয়ে রাখতে ও সাধারণ জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে কেন্দ্রের গুটিকয়েক নেতা দাফন নিয়ে রাজনীতি করছেন। তাদের এই রাজনীতি মেনে নেওয়া হবে না। আমরা এরশাদ স্যারের সমাধি জাতীয় তিন নেতার সমাধির পাশে করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু ওনারা জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব বিলীন করতে সামরিক কবরস্থানে স্যারকে সমাহিত করতে চান। যেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ। এটা ষড়যন্ত্র। এরশাদের রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা আদর্শকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। সামরিক কবরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত দলের কেউই মানে না। যেকোনো মূল্যে রংপুরের মাটিতেই দাফন করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, এরশাদকে জাতীয় নেতার মর্যাদা দিয়ে সমাহিত করা হলে আমরা মানতাম। কিন্তু তা করা হচ্ছে না। স্যারের মরদেহ ও দাফন নিয়ে কাউকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। রংপুরের পুত্রবধূ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করবো, আপনার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। আপনি জনগণের আকুতি বোঝেন। জনগণের চাওয়া-পাওয়া দাবি কি তা বোঝেন। প্রধানমন্ত্রী আপনি বলে দিন, আমাদের সন্তানকে রংপুরের মাটিতে সমাহিত করার জন্য।
মোস্তফা আরো বলেন, যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয়, রংপুর থেকে এরশাদের মরদেহ কোনোভাবেই নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। কেউ যদি অপচেষ্টা চালায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে তা প্রতিহত করবে। আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত। তবুও রংপুরের পল্লীনিবাসে স্যারের দাফন করা হবে। রংপুরের মানুষের আবেগ-ভালোবাসা নিয়ে রাজনীতি করলে কি হয়, লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে স্যারের জানাজা তা প্রমাণ করবে।
সভায় দলের যুগ্ম মহাসচিব ও রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসিরের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, গাইবান্ধা জেলা সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রশিদ, রাজশাহী জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামাল ফারুক, পঞ্চগড় জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু সালেক, দিনাজপুর জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুবেল, সাবেক সংসদ সদস্য সাহানারা বেগম, রংপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, জয়পুরহাট জেলা সভাপতি তিতাস মোস্তফা, ঠাকুরগাঁও জেলা সদস্য সচিব আলী রাজী স্বপন, নীলফামারীর সদস্য সচিব শাজাহান প্রমুখ।
সভায় রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ১৬ জেলার জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
এএ