মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে মেয়র ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান।
পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দেশের অনেক জায়গা থেকেই এখানে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে।
‘এই সমস্যা থেকে অচিরেই আমরা বেরিয়ে আসবো। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পাশাপাশি সব দপ্তর সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাঠে আছে। আমাদের ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল টিম মাঠে রয়েছে। দু’চার দিনের মধ্যে পরিচ্ছন্নতার জন্য টিম গঠন করে দেবো যারা প্রতিটি বাসায় গিয়ে ডেঙ্গুর প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করে দিয়ে আসবে। আমাদের সব উদ্যোগ সচল রয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তাহলে আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সক্ষম হবো। ’
পার্শ্ববর্তী দেশের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ভারতের দিল্লি, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, থাইল্যান্ড, এমনকী আমেরিকায়ও হাজার হাজার মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বৈশ্বিক সমস্যা, জলবায়ু পরিবর্তন একটা অন্যতম কারণ এই ডেঙ্গু বিস্তারের জন্য। তবে আমরা বসে নেই।
মেয়র বলেন, ডেঙ্গু মশা ময়লা-আবর্জনার মধ্যে সৃষ্টি হয় না। এটি পরিষ্কার পানিতে বাসাবাড়ির ভিতরে প্রজনন করে। কাজেই বাসাবাড়ির ভিতরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ডেঙ্গু মশা নিধনে আমাদের কর্মসূচি চলে আসছে। এবং প্রতিদিন চলছে। আমরা আশাকরি এটি আর ছড়াবে না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, ইমাম, পুরোহিত, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ করেছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ২৮ জন করে প্রতিনিধি আছেন, যাদের স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন আমার কাছে জমা দেওয়া হয়। কাজেই কারো ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই।
এসময় মেয়র সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিনসহ চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এজেডএস/এএ