তবে জেলার নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করায় দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১২ আগস্ট দিবাগত রাতে হঠাৎ বন্যার কবলে পড়ে উত্তরাঞ্চলের জেলা দিনাজপুর।
ভয়াবহ বন্যার প্রায় ২ বছরের কাছাকাছি সময়ে আবারও দিনাজপুর বন্যার কবলে পড়তে যাচ্ছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে বাঁধের সেই স্থানে আবারও ফাটল দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বাঁধের ফাটলের নিচের স্থান দিয়ে ছোট ফুটো হয়ে চুয়ে চুয়ে পানি প্রবেশ করছে দিনাজপুর শহরে।
সরেজমিনে মাহুতপাড়া তুতবাগানের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বাঁধের ফাটলের স্থানের উপর দিয়ে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। ঘিরে ফেলা হয়েছে ওই স্থানটি। পলিব্যাগ ও অন্যান্য মাধ্যমে এনে রাখা হয়েছে মাটি ও বালু। তবে ফাটল ধরা স্থান মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কমর্কর্তাকে কাজ করতে দেখা যায়নি। যে কোনো সময় ঘটতে পারে আবারও বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ার মাহমুদুল আলম বাংলানিউজকে জানান, জেলার ৩টি প্রধান নদীতে সোমবার সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। পুনর্ভবা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৩ দশমিক ৫০০ মিটারের স্থলে ৩২ দশমিক ৪২০ মিটার, আত্রাই নদে পানি বিপদসীমার ৩৯ দশমিক ৬৫০ মিটারের স্থলে ৩৯ দশমিক ১০০ এবং ছোট যমুনার নদীর পানি বিপদসীমার ২৯ দশমিক ৫০০ মিটারের স্থলে ২৮ দশমিক ৬৮০ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। সার্ভেয়ার জানান, বৃষ্টি এবং অন্যান্য নদীর পানি পুনর্ভবাসহ ৩টি নদীতে প্রবাহিত না হলে পানি আরও কমে যাবে।
দিনাজপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল আলম রমজান বাংলানিউজকে জানান, তিনি সকাল থেকে বাঁধের পাশে অবস্থান করছেন। বন্যা শেষ হলেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থায়ী ব্যবস্থা করা হবে।
দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, জেলার নদীগুলোর পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। তাই বাঁধ ফাটলের ফলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পানি কমে গেলেই বাঁধের নিচ দিয়ে পানি চুয়ে চুয়ে শহরে প্রবেশ করা বন্ধ হবে। বন্যার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এসএইচ