মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে অভিযানের সময় ট্রাকের টোল আদায়ে অনিয়মের প্রমাণ পায় তারা। এ ঘটনায় টোল আদায়কারী কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে দুদক।
দুদক খুলনার উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান জানান, সেতু পারাপারের ক্ষেত্রে বড় ট্রাকের টোল (খাজনা) ২৭৫ টাকা। কিন্তু ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা ২৫০ টাকা নিয়ে মাঝারি ট্রাকের রশিদ কাটতো। মাঝারি ট্রাকের টোল ১৮০ টাকা। বাকি ৭০ টাকা তারা আত্মসাৎ করতো। এভাবে প্রতিদিন ২২০/২৫০টি ট্রাকের টোলের টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতেন আদায়কারীরা।
তিনি বলেন, প্রথমে আমরা সেতুর কাছে দাঁড়িয়ে ট্রাকের রশিদ যাচাই করেছি। কিন্তু কোনো ট্রাকচালকের কাছে রশিদ পাওয়া যায়নি। চালকরা বড় ট্রাকের জন্য কেউ ২৫০ টাকা, কেউ ২৪০ টাকা করে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। অথচ বড় ট্রাকের টোল ২৭৫ টাকা। টাকা কম দেওয়ার কারণে তাদের রশিদ দেওয়া হয় না বলে জানান চালকরা। পরে টোলঘরে অভিযান চালালে দেখা যায়, সেখানে ছোট ট্রাকের টোল কাটা হয়েছে। এসময় সিসি ক্যামেরা চেক করে দেখা যায়, প্রতিটি বড় ট্রাকের টোল মাঝারি ট্রাক হিসেবে আদায় করা হয়েছে।
নাজমুল হাসান আরও বলেন, এই অনিয়মের সঙ্গে সবাই জড়িত। আটক করলে সবাইকে করতে হবে। সেতুতে গাড়ি পারাপার বন্ধ হয়ে যাবে, তাই কাউকে আটক করা হয়নি। তবে বিষয়টি লিখিতভাবে সড়ক বিভাগকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এমআরএম/এএ