মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ঢাকার মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিন এক দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নেয়ামত উল্লাহ মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামি মো. তাজুল ইসলামকে দুই দফা তিনদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন জানান।
অপরদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল হাই জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর তাজুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরআগে তাজুল ইসলামকে গত ১১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) দুইদিন এবং ১৪ জুলাই (রোববার) একদিন রিমান্ডে পাঠান আদালত।
অর্থ আত্মসাৎ ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সুফিয়া আক্তার নামে এক নারী মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে বংশাল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিরা হলেন, আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম (৬২), ব্রাঞ্চ কন্ট্রোলার ও ব্যবস্থাপক লাকী খাতুন (৩২), শাখা ব্যবস্থাপক দ্বীন মোহাম্মদ (৪২), নবাবপুর শাখা ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন (৩৫) এবং উপদেষ্টা মো. নুরুন্নবী (৬৫)।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২০ অক্টোবর থেকে আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের নবাবপুর শাখা অফিসে বিভিন্ন মেয়াদে সুফিয়া আক্তার ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩৫ টাকা জমা রাখেন। পরে একাধিকবার টাকা উত্তোলনের জন্য গেলেও টাকা ফেরত পাননি। নবাবপুর শাখা ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন সুফিয়া আক্তারকে টাকা নেই জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
পরে ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও ব্রাঞ্চ ব্যবস্থাপক লাকী খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।
শাখা ব্যবস্থাপক দ্বীন মোহাম্মদ ও উপদেষ্টা নুরুন্নবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও টাকা পাননি ভুক্তভোগী নারী। এ ঘটনায় ৬ মার্চ মামলার আসামিরা সুফিয়া আক্তারকে প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং টাকা ফেরত না দেওয়ার কথা জানান।
এরপর গত ১১ জুলাই আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এমএআর/ওএইচ/