বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. সেলিম মিয়া তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বদরুল আলম গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ধানকোড়া গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি বর্তমানে গাজীপুর জেলার হাইওয়ে পুলিশের এএসপি হিসেবে কর্মরত আছেন। ২০০৯ সালে বদরুল আলম যশোরের ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই বছর ৪ মে তার সম্পত্তির হিসেব চেয়ে সাত দিনের মধ্যে তা দুদকে জমা দিতে বলা হয়। বদরুল আলম দুদকের নোটিশের ওই চিঠিটি ৫ মে গ্রহণ করেন। সে হিসেবে ১৪ মে’র মধ্যে তার সম্পত্তির হিসেব দেওয়ার কথা ছিল।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বদরুল আলম নির্দিষ্ট সময়ে সম্পত্তির হিসেব না দেওয়ায় দুদক ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবুল হোসেন বাদী হয়ে ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২০০৯ সালের ৮ সেপ্টম্বর দুদকের নোটিশ অমান্য করার অভিযোগে (২০০৪ (২৯) ২ ধারায়) একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর বদরুল আলম হাইকোর্ট থেকে অন্তবর্তিকালীন জামিন নেন।
পরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ গত ২০১৪ সালের ১৬ জুন এ ব্যাপারে একটি রুল জারি করে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বদরুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুদকের মামলার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।
জেলা দুদকের আইনজীবী নারায়ন চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে জানান, হাইকোর্ট রুল নিশি খারিজ করে দিলেও বদরুল আলম সত্য গোপন রাখেন। পরে বুধবার (১৭ জুলাই) তিনি ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিনের খারিজ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বদরুল আলমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে পরিচালিত হবে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
আরআইএস/