বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে উপজেলার মেরুরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সামিউল হক নেদা বাংলানিউজকে জানান, বন্যার পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পুরো সেতু ভেঙে পড়ে উধাও হয়ে যায়।
এদিকে স্থানীয় দশানী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি দ্রুত বেড়ে বন্যায় নতুন করে বকশীগঞ্জ পৌর এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই মেরুরচর, সাধুরপাড়া, নিলক্ষিয়া ও বগারচর ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৭০ হাজার মানুষ।
দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জের সড়কে পানি ওঠায় ইতোমধ্যেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পাশাপাশি বকশীগঞ্জ উপজেলার কলেজ, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এলাকায় পানি ঢোকায় প্রায় শতকোটি টাকার মাছ বেড়িয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে অসংখ্য বীজতলা।
এদিকে বন্যায় সরকারিভাবে মাত্র ১০টন চাল ও ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সারা উপজেলায় চলছে ত্রাণের জন্য হাহাকার।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা হাসান মাহাবুব খান বাংলানিউজকে জানান, ত্রাণের জন্য আরও চাহিদা দেওয়ার প্রেক্ষিতে আরও ২৫ টন চাল ও ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এসব ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
আরআইএস/