বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ উল্ল্যা সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নিহত দুলা মিয়ার চাচা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য সাদেক মিয়াকে গ্রেফতার করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ।
পুলিশ সুপার জানান, সাদেকের পরিকল্পনা অনুযায়ী চুনারুঘাট উপজেলার পাট্টাশরীফ গ্রামের মৃত মকসুদ আলীর ছেলে দুলা মিয়াকে (৪০) অপহরণ করে ভাড়াটে খুনিরা। পরে ঢাকার হাজারীবাগ এলাকা থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ বস্তাবন্দি করে ফেলে দেওয়া হয় বুড়িগঙ্গা নদীতে। সেখান থেকে গত ১৮ জুন দুলার মরদেহ উদ্ধারের পর আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে তাকে করে দাফন হাজারীবাগ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় দায়ের করা হয় একটি হত্যা মামলা।
এদিকে গত ৩০ জুন ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিজিবি সদস্য সাদেকের ভাগ্নে আফরোজ মিয়াকে (২৭) শ্রীমঙ্গল উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় এক যুবকের মোবাইল ফোনে ধারণ করা একটি ছবির সূত্র ধরে গত ১৪ জুলাই ঢাকা থেকে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস জব্দ করে পুলিশ। এরপর আফরোজের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভোলার লালমোহন থানার মৃত আজিজ মিয়ার ছেলে মাইক্রোবাস চালক ইউসুফ সরদার (৩২) ও কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার টামনিকোনা পাড়ার লাল মিয়ার ছেলে মামুন মিয়াকে (৩৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। ইতোমধ্যে ইউসুফ ও মামুন হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এক পর্যায়ে গত সোমবার (১৫ জুলাই) চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে জসিম উদ্দিন (৩১) ও বরিশাল জেলার গৌরনদী এলাকার তাজেম সরদারের ছেলে শামীম সরদারকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন।
আসামিদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরও জানান, দুলা মিয়ার পাঁচ শতাংশ জমি দখলের পায়তারায় লিপ্ত ছিল তার চাচা বিজিবি সদস্য সাদেক। এক পর্যায়ে উল্লেখিত আসামিদের ভাড়া করে দুলাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ জুন চুনারুঘাটের পাট্টা শরীফ গ্রাম থেকে দুলাকে অপহরণ করা হয়। অপহরণ কাজে সাদেকের ভাগ্নে আফরোজ সার্বিক সহযোগিতা করেন বলেও জানান এসপি মোহাম্মদ উল্ল্যা।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
আরআইএস/