এর আগে, দু’দিন ধরে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে মাইকিং করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে সিরাজগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সভাপতি জিন্নাহ আলমাজি বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকার বাসস্ট্যান্ডগুলোতে সিরাজগঞ্জের সব কাউন্টার বন্ধ করা এবং চন্দ্রা মোড় থেকে বাস ফিরিয়ে দেওয়া ও শ্রমিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ মহাখালী মালিক সমিতির বিভিন্ন অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আমরা বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করবো।
তিনি বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সঙ্গে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের নিরসনের জন্য আমরা তিনদিনের সময় দিয়েছিলাম। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো মানা হয়নি। যার কারণে আমরা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছি। দাবি মানা না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাবে সিরাজগঞ্জ মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
প্রসঙ্গত সিরাজগঞ্জ-ঢাকা রুটে সিরাজগঞ্জ জেলা বাস-মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সেবা লাইনের বেশ কয়েকটি বাস ঢুকিয়ে দেয় মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতি। এনিয়ে দুই সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ১৩ জুলাই থেকে সিরাজগঞ্জ-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিরসনের দাবি জানিয়ে সিরাজগঞ্জ মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনদিনের আল্টিমেটাম দেয়। বুধবার আল্টিমেটামের দিন শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে জেলার সব রুটে পরিবহন ধর্মঘট পালন করবে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
এমকেআর/আরআইএস/