হানিফ বলেন, শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনার সত্যতা ছিল বলেই ১৯৯৪ সালেই বিএনপি ক্ষমতায় থাকাবস্থায় মামলা নিতে বাধ্য হয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আদালতে তাদের অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় আদালত তাদের সাজা দিয়েছেন।
সাম্প্রতিক কুমিল্লা আদালতের এজলাসে হত্যাকাণ্ডকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এ সমস্ত মিথ্যাচার করার আগে বিএনপি নেতাদের আয়নায় মুখ দেখা উচিৎ। কারণ, তাদের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আদালতে বোমা হামলা করে ১২ জন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছিল। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া, সকল হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সরকার নিশ্চিত করবে বলেও জানান তিনি।
পরে, শহরের দোয়েল কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গণে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। পাবনা জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক আমিরুল ইসলাম মাইকেলের সভাপতিতে এ সময় মাহবুবুল আলম হানিফ ছাড়াও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার , সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, কেন্দ্রিয় নেতা তানভীর শাকিল জয়, রফিকুল ইসলাম লিটন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুর রহমান শরিফ ডিলু এমপি, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপিসহ ঢাকা, পাবনা সিরাজগঞ্জহ, উল্লাপাড়া, কুষ্টিয়া থেকে আসা স্থানিয়ো ও কেন্দীয় নেত্রীবর্গ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান সুইট।
বিকেলে কাউন্সিল অধিবেশনের মধ্য দিয়ে, এবারই প্রথম পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক কমিটি গঠন হবে। উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মত পাবনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন একজন ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন ছয়জন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
এমএমএস