রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এবার প্রধান বিচারপতি, স্পিকার এবং তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে পাওয়া নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অনেকটাই সহায়ক হবে।
দেশের জনগণ বিভিন্ন সেবাপ্রাপ্তির জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অফিসের ওপর নির্ভরশীল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বিভিন্ন অধিবেশনে সভাপতিত্বে করেন। অধিবেশন শেষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপ-মন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
গত ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের ডিসিদের দিক নির্দেশনা দেন রাষ্ট্রপতি। ১৬ জুলাই বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতিদের সঙ্গে সৈজন্য সাক্ষাৎ করেন ডিসিরা।
১৭ জুলাই সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কার্য-অধিবেধন হয়।
১৮ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক অধিবেশন শেষে দুপরে হয় ডিসি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশন। পরে বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের কেনিনেট কক্ষে ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে ডিসিরা সৈজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সেই সাক্ষাতে দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে জেলা প্রশাসকদের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া।
প্রতি বছর তিন দিন ধরে এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দেশের মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তথা ৬৪ জেলার ডিসিদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিয়ে আসছিলেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের নীতি-নির্ধারকরা।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ ৫৪টি মন্ত্রণালয়-বিভাগ অংশ নেয়। কার্য-অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ডিসি সম্মেলনে আলোচনার জন্য ৩৩৩টি প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছিল। কিছু কিছু বিষয় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে বাস্তবায়ণ করতে বলা হয়েছে ডিসিদের। এছাড়াও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে নির্দেশনা পেয়েছেন ডিসিরা।
গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মধ্যে, ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম জোরদারকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন ও দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় নিয়ে ডিসি সম্মেলনে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএমএস