সংশ্লিষ্টরা জানান, সৈয়দপুর শহর রক্ষায় খড়খড়িয়া নদীর পূর্ব পাড়ে ১৯৬৫ সালে ৭ কিলোমিটার বাঁধ নির্মান করা হয়। পরবর্তিতে আরো সাড়ে ৮ কিলোমিটার নির্মান করা এই বাঁধটি ১৮ ফুট চওড়া ও ১০ ফুট উঁচু।
২০১৭ সালের বন্যায় পাটোয়ারীপাড়া এলাকায় বাঁধের প্রায় ১০০ ফুট ভেঙ্গে যায়। সে সময় সৈয়দপুর বিমানবন্দরসহ শহরের নিম্নাঞ্চলে পানিবন্দি হয়ে পড়ে ৫ হাজার পরিবার। ওই বছর ক্ষতিগ্রস্ত অংশসহ বাঁধের প্রায় ৬ কিলোমিটার সংস্কারের কাজ করে পানি উন্নয়ণ বোর্ড।
তবে চলতি বছর বাঁধটির কোনো সংস্কার করেনি কর্তৃপক্ষ। ইঁদুরের উপদ্রব আর বাঁধের কোল ঘেষে মাটি কেটে নেয়ায় এবারের বন্যায় ঝুঁকির মুখে রয়েছে বাঁধটি।
সৈয়দপুর শহরের কুন্দল এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, শহর রক্ষা বাঁধটি গত বছর নামমাত্র সংস্কার করে কর্তৃপক্ষ। বাঁধের গোড়ার মাটি কেটে সংস্কার, ইঁদুর গর্ত ভরাট না করায় বন্যায় আবারো ভেঙ্গে যেতে পারে বাঁধটি।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল চন্দ্র সরকার জানান, গত বছর আমরা যে বরাদ্দ পেয়েছিলাম তা দিয়ে অধিক দূর্বল স্থানগুলো মেরামত করা হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি এখন আমরা পর্যবেক্ষন করছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে তা মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোথাও ইঁদুরের গর্ত থাকলে তা বন্ধ করে দিচ্ছি এবং ইঁদুর মারার ব্যবস্থা ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
পিএম/এমএমএস