পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শহরের মাঝের পাড়ার আজম আলীর ছেলে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের নেতা শোয়েব রিগান রাতে মটর সাইকেলযোগে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাহেলা খাতুন গালর্স একাডেমির পেছনে পৌঁছালে ৫/৬ জনের একটি দুর্বৃত্ত দল তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: মশিউর রহমান জানান, ধারালো চাপাতি দিয়ে উপর্যপুরি কোপানোর ফলে রিগানের দুই পা ও বাম হাতসহ শরীরের অন্তত ৪০টি স্থান ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। বিশেষ করে দুই পা ও বাম হাতে কোপ দেওয়া হয়েছে অসংখ্যাবার। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ কারণে আমরা চুয়াডাঙ্গা থেকে রিগানকে ঢাকা পঙ্গুতে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা শোয়েব রিগানের ওপর হামলার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতি: পুলিশ সুপার মো: কলিমুল্লাহ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাসহ জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা হাসপাতালে ছুটে যান।
অতি: পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো: কলিমুল্লাহ জানান, কারা এ হামলার সাথে জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে গ্রেফতারের অভিযান শুরু হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে অতি:পুলিশ।
অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহাবুল হোসেন জানান, শোয়েব রিগান কলেজ ছাত্রলীগের নেতা হলেও চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি হিসাবে মনোনীত ছিলেন। ন্যাক্কারজনক এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
এমএমএস