চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আট কিলোমিটার দীর্ঘ একটি খাল নির্মিত হয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য। উপজেলার গোহালবাড়ী ও ভোলাহাট সদর ইউনিয়নের আওতায় মহানন্দা নদী থেকে সৃষ্ট এ খাল বৃহত্তর বজরাটেক, ঝাউবোনা, হলিদাগাছি, উপজেলা পরিষদ দক্ষিণ গেট, ইমামনগর বাজার হয়ে কীরশ্বরপুর, সুরানপুর দিয়ে চলে গেছে বিলভাতিয়া।
আট কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২৪ ফিট প্রস্থের খালটি উপজেলার দুই ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা নিরশনসহ পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল। যার সব পানি চলে যেত বিলভাতিয়ায়। কিন্তু, ১০ বছর আগে ইমামনগর বাজার থেকে সুরানপুর পর্যন্ত গ্রামের কিছু প্রভাবশালী রাজনীতিক ও প্রভাবশালীরা খালটি দখলে নিয়ে মাটি ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করায় পয়ঃনিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই বিশাল এলাকাজুড়ে পানি জমে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার।
গত ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) বাংলানিউজে ‘ভোলাহাটে খাল ভরাট করে দখল, জলাবদ্ধতা-দুর্ভোগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। আর এতেই নড়েচড়ে বসে ভোলাহাট উপজেলার দায়িত্বশীলরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে গোহালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বীরশ্বরপুর, সুরানপুর ও ইমানগর তার ইউনিয়নের আওতায় হওয়ায় সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ থেকে বাঁচাতে দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা সরাতে নোটিশ দেন।
নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না নিলে সরকারি বিধি অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশটি ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর অনুলিপিও দেওয়া হয়।
ভোলাহাট ইউএনও মাহমুদা পারভিন বাংলানিউজকে বলেন, নোটিশ পাওয়ার পর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রক্রিয়া অব্যহত রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।
** ভোলাহাটে খাল ভরাট করে দখল, জলাবদ্ধতা-দুর্ভোগ
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
এসআরএস