স্থানীয়রা জানান, তীব্র স্রোতের কারণে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বাঁধটির ভূঞাপুর পৌর এলাকার টেপিবাড়ি নামক স্থানে ভেঙে যায়। ফলে ভূঞাপুর পৌরসভা ও ফলদা ইউনিয়নের সাত/আট গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরেই বাঁধটি হুমকির মুখে থাকায় সেটি মেরামত করার তৎপরতা চললেও হঠাৎ করেই রাতে বাঁধের টেপিবাড়ি অংশে ভেঙে যায়।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের আহ্বানে সেনাবাহিনী বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে। সকালে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার, ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি পরিদর্শন করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোশারফ হোসেন খান বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
জেলা প্রশাসনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানায়, যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিপদসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, গোপালপুর, কালিহাতী, নাগরপুর, দেলদুয়ার উপজেলার প্রায় ১১১টি গ্রামের তিন লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি প্রবেশ করায় এসব এলাকার ৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
আরএ