ব্র্যাকের থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সরকারি, বেসরকারি এবং উন্নয়ন- এই তিন সেক্টরে শীর্ষ পর্যায়ে দায়িত্ব পালনের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে আসিফ সালেহের।
ব্র্যাক এবং ব্র্যাকের বাইরে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য সফল ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন, টেকসই পরিচালন পদ্ধতি ও আর্থিক ব্যবস্থাপন গড়ে তোলা এবং কার্যকর অংশীদারিত্ব সৃষ্ঠির ক্ষেত্রে তিনি দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন।
আসিফ সালেহ্ ২০০১ সালে ব্র্যাকে যোগদানের পর থেকে অ্যাডভোকেসি ফর স্যোশাল চেঞ্জ, ইনফরমেশন টেকনোলজি, কমিউনিকেশন এবং সোশ্যাল ইনোভেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন এবং প্রয়োজনীয় নেতৃত্ব দেন। নগরাঞ্চলের দারিদ্র্য নিরসন, যুবসমাজের দক্ষতা বৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং অভিবাসন ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। এমপাওয়ারমেন্ট ক্লাস্টারের ঊর্ধ্বতন পরিচালক হিসেবে তিনি ব্র্যাকের একাধিক নতুন উদ্যোগ যেমন নগর উন্নয়ন, মানবাধিকার ও আইন সহায়তা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং অভিবাসন কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ব্র্যাকে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আসিফ সালেহ্ বলেন, ব্র্যাকে গত ৮ বছর আমার কাজের অভিজ্ঞতা এক কথায় অনন্য। তৃণমূল পর্যায়ে আমরা যাদের সঙ্গে কাজ করি, তাদের দৃঢ়তা ও বাস্তব বোধ আমাকে নিরন্তর অনুপ্রেরণা জোগায়। এদেশের মানুষ জানে কী করে শত প্রতিকূলতার মুখেও ঘুরে দাঁড়াতে হয়। একটি বৈষম্যহীন পৃথিবী বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করে ব্র্যাক। এই রূপকল্পকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য এক বিরাট সম্মান।
ব্র্যাকে যোগদানের আগে আসিফ সালেহ্ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচির পলিসি স্পেশালিস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া গোল্ডম্যান স্যাক্স-এ তিনি দীর্ঘ ১২ বছর কাজ করেছেন এবং নিউ ইয়র্ক ও লন্ডনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ মেয়াদে তিনি সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও, গ্ল্যাক্সো ওয়েলকাম, আইবিএম এবং নরটেল-এর সঙ্গেও কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
ব্রুকলিন ইন্সটিটিউট-এর মিলিয়নস লার্নিং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপের একজন আসিফ সালেহ। শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের লক্ষ্যে কর্মরত দক্ষিণ আফ্রিকা ভিত্তিক সংগঠন ‘ইনোভেশন এজ’ এরও তিনি একজন সদস্য।
বাংলাদেশিদের মানবিক ও অর্থনৈতিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে পরিচালিত বৈশ্বিক সংগঠন দৃষ্টিপাত-এর তিনি প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৩ সালে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম-এর ইয়ং গ্লোবাল লিডার নির্বাচিত হন। এছাড়াও ২০০৭ সালে বাংলাদেশি আমেরিকান ফাউন্ডেশন এবং ২০০৮ সালে এশিয়া সোসাইটির এশিয়া-২১ কর্মসূচি আসিফ সালেহ্কে তার অবদানের জন্য স্বীকৃতি দেয়। ২০১২ সালে তিনি এশিয়া ২১-এর ফেলো নির্বাচিত হন।
আসিফ সালেহ্ ব্র্যাক আইটি সার্ভিসেসের চেয়ার এবং ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্র্যাক নেটের বোর্ড সদস্য। এছাড়াও তিনি একাধিক অলাভজনক সংস্থার বোর্ড সদস্য। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ওয়ান ডিগ্রি ইনিশিয়েটিভ, স্পৃহা, ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং মায়া।
আসিফ সালেহ কম্পিউটার সায়েন্স-এ স্নাতক এবং নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্টার্ন স্কুল অব বিজনেস থেকে ব্যবস্থাপনা ও মার্কেটিং-এ এমবিএ করেছেন।
আসিফ সালেহ’র নিয়োগ বিষয়ে ব্র্যাক-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপার্সন স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেন, ব্র্যাকের পরিচালনা পর্ষদ আস্থাবান যে, আগামী দিনগুলোতে ব্র্যাকের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আসিফ সালেহ্-এর নেতৃত্ব বিশেষ ভূমিকা রাখবে। নতুন উদ্ভাবন ও তৃণমূলের প্রত্যাশার সম্মিলন ঘটিয়ে তিনি ব্র্যাককে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
এইচএডি