বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৩ মে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মইনপুরের বাসিন্দা রশিদের ছোট ভাই রিপন মিয়ার খৎনার অনুষ্ঠানে আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত খাওয়ানোর জন্য নয়টি মোরগ কেনন বাবা সহিদ মিয়া।
এ নিয়ে সহিদ মিয়া উত্তেজিত হয়ে রশিদকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করেন। এসময় রশিদ তার বাবাকে লাঠি দিয়ে মারতে যায়। তখন তার মামাতো বোন তাকে বাধা দিলে সহিদ মিয়া পালিয়ে পাশের খালি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে রশিদ তার বাবা সহিদ মিয়াকে ধাওয়া করে মাথায় ও শরীরে আঘাত করে। এতে সহিদ মিয়া গুরুত্বর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাতেই সহিদ মারা যান। পরদিন তার মা নূরুন নেছা বাদী হয়ে ছাতক থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত রশিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
এনটি