বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেলে চুয়াডাঙ্গার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জীবননগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের গনি মণ্ডলের ছেলে আব্বাস আলী ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দিগড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আলী আহম্মেদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ রাতে জীবননগর উপজেলার পাকা গ্রামের আবুল কালামকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুনও গুরুতর আহত হন। পরদিন নিহতের ভাই জাকির হোসেন অজ্ঞাত আসামিদের নামে জীবননগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন জীবননগর থানার উপ-পরিদর্শক মকবুল হোসেন তদন্তকালে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আলী আহম্মেদ ও আব্বাস আলীকে ওই বছরের ১৯ মে গ্রেফতার করেন। পরে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর পুলিশ দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বিজ্ঞ আদালত এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্ত আব্বাস আলী ও আলী আহম্মেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
এদিকে, স্বর্ণ পাচারের মামলায় আলামিন সরকার নামে এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিকেলে চুয়াডাঙ্গার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ বিচারক রবিউল ইসলাম এ রায় দেন।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ১১ মার্চ সকালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টে আলামিন সরকার নামে একজনকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। পরে তাদের স্যান্ডেলের ভেতর বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা চারটি স্বর্ণের বার ও ১৪টি সোনার গহনা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় যশোর-বেনাপোল বন্দরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খাঁন বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় স্বর্ণ পাচারের একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা থানার উপ-পরিদর্শক রাজীব আল রশিদ তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ জুন আলামিন সরকারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
স্বর্ণ পাচারের এ মামলায় বিজ্ঞ আদালত মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আলামিন সরকারকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেন।
রায় ঘোষণার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত ফিরোজ মণ্ডলের ছেলে দণ্ডিত আলামিন সরকার পলাতক ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
এনটি