বুধবার (৩১ জুলাই) দিনগত রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
প্রতিবেশী আশরাফুল ইসলাম জানান, ফাতেমাদের বাসা নন্দীপাড়া ছোট বটতলা ১০ নম্বর গলিতে। বাবা দুলাল মিয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী। মা শিখা বেগম বাসাবাড়িতে কাজ করে। চার মেয়ের মধ্যে ফাতেমা ছিল সবার ছোট। সংসারে অভাব অনটনের জন্য ছোট মেয়েকে দেড় মাস আগে কমলাপুর জসিম উদ্দিন রোডের একটি বাসায় কাজে দেয়। বাসার গৃহকর্তা একটি হাসপাতালের চিকিৎসক।
‘গৃহকর্তা তাদের জানিয়েছিল ফাতেমা অসুস্থ, তাকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু ফাতেমা কী ধরনের অসুস্থ হয়েছে তা জানানো হয়নি। বুধবার বিকেলে ঢামেকে মারা যায় ফাতেমা। মৃত্যুর পর গৃহকর্তা তাদেরকে জানান, ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে সে। তবে বাসায় আসার পর সন্দেহ হলে খিলগাঁও থানায় অভিযোগ করা হয়। ফাতেমার মরদেহ ঢামেক থেকে সরাসরি নন্দীপাড়া এলাকার তার মা-বাবার বাসায় আনা হয়’, বলেন প্রতিবেশী আশরাফুল।
এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন জানান, বাবা-মার বাসা থেকে ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিবারের কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা শুনে আমরা জানতে পারি ঘটনাস্থল মতিঝিল থানা এলাকায়। বিষয়টি মতিঝিল থানায় অবগত করা হয়েছে।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, খিলগাঁও থানা থেকে ফাতেমার মৃত্যুর সংবাদ আমরা পেয়েছি। শিশু ফাতেমা কিভাবে মারা গেলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৯
এজেডএস/জেডএস