বুধবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ন কবীরের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।
কোর্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুলেটের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, ২৭ জুলাই (শনিবার) ফতুল্লার দেওভোগ হাশেমবাগ এলাকায় রিকশার গ্যারেজ মাহজন শাকিলকে কুপিয়ে হত্যা ও সজিব, সুভাষ এবং শাওনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বুলেট আদালতে দায় স্বীকার করে বলেছে সে ইয়াবা ব্যবসায়ী তুহিনের বডিগার্ড হিসেবে কাজ করতো। বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা সাপ্লাই দিতো এবং ইয়াবা বিক্রির টাকা কালেকশন করতো। ঘটনার দিন তুহিনসহ প্রায় ২০ জন বাংলাবাজার এলাকা থেকে মাদক বিক্রির টাকা কালেকশন করে দেওভোগের দিকে পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলো।
এসময় হাশেমবাগ এলাকায় আসামাত্র একটি মোটরসাইকেলের আলো সবার চোখে পড়ে। তখন তুহিন মোটরসাইকেল আরোহীকে থামায় এবং গালাগাল করে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল আরোহী দ্রুত মোটরসাইকেল চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া করে এলোপাতাড়ি কোপায়। এসময় আশপাশের লোকজন ছুটে এলে রিকশার গ্যারেজ থেকে শাকিল ও সজিব এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করে। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে সবাই শাকিল, সজিব ও শাওনকে ধরে এবং দুজন মিলে তাদের তিনজনকে কোপায়। এরপর যে যার মত চলে যায়।
ঘটনার সময় সুভাষ শহরের ২ নং রেলগেট এলাকা থেকে বাংলাবাজার এলাকায় নিজ বাড়িতে মোটরসাইকেল চালিয়ে ফেরার পথে প্রথমে তার সঙ্গে এঘটনা ঘটে। সুভাষের মোটরসাইকেলের আলোই তুহিন ও তার বন্ধুদের চোখে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
জেডএস