এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের ওপর চড়াও হন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে শহরের খান মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। মার্কেটি শহরের মানুষের কাছে ওষুধের মার্কেট হিসেবে পরিচিত।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে র্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিছুর রহমানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করতে খান মার্কেটে যান। এসময় ভ্রাম্যমাণের আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে ওষুধ ব্যবসায়ীরা দ্রুত সব দোকান বন্ধ করে ফেলেন।
এক পর্যায়ে ওষুধ ব্যবসায়ীরা রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। সঙ্গী হন তাদের কর্মচারীরাও। অবস্থান নেন শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায়। এসময় ওষুধ ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা মিলে বিক্ষোভের চেষ্টা করেন। ফলে সাতমাথার সাত সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
পরে পুলিশ তাদের সরে যেতে বললে পুলিশের ওপর চড়াও হন ওষুধ ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে একজন আটক করা হয়। তবে আটক ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয় বলে জানা গেছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।
বগুড়া কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন বাংলানিউজকে জানান, র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় কেউ বাধা দেয়নি। এছাড়া সাময়িক সময়ের জন্য দোকান বন্ধ করা হলেও পরে সব দোকান খোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৯
এমবিএইচ/আরবি/