শনিবার (৩ আগস্ট) কাজিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গৌতম কুমার বাংলানিউজকে ইয়াছিনের জবানবন্দি দেওয়ার তথ্য জানান। শুক্রবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুর রহমানের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ইয়াছিন।
ইয়াছিন উপজেলার সোনামুখী ঋষিপাড়া গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে। আর শ্যামল উপজেলার সোনামুখী বাজারের ব্যবসায়ী মৃত সত্যেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে।
শ্যামল সাহা গত সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে নিখোঁজ হন। পরদিন মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে তার স্ত্রী রিনা রানী সেন বাদী হয়ে ইয়াছিনসহ দু’জনের নাম উল্লেখ এবং আরও তিন/চারজন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে কাজিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে ধুনটের দিঘলকান্দি গ্রামের ইছমতি নদী থেকে শ্যামলের মরদেহ উদ্ধার করে ধুনট ও কাজিপুর থানা পুলিশ।
কাজিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গৌতম কুমার বাংলানিউজকে বলেন, ইছামতি নদী থেকে ব্যবসায়ী শ্যামলের মরদেহ উদ্ধারের দু’দিন পর শুক্রবার ভোরে আসামি ইয়াছিনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুর রহমানের আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
জবানবন্দিতে আসামি দাবি করেন, শ্যামলের সঙ্গে তার সমকামিতার সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্কের জের ধরে উভয়ের মধ্যে আর্থিক লেনদেনও ছিল। সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে শ্যামলকে মোবাইল ফোনে ডেকে ঋষিপাড়া এলাকায় ইছামতি নদীর পাড়ে নিয়ে যান ইয়াছিন। এসময় পাওনা টাকা ও সমকামিতার সম্পর্কের বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইয়াছিনকে দু-একটি চড়-থাপ্পড় দেন শ্যামল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তখনই শ্যামলের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন ইয়াছিন। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান শ্যামল। পরে মরদেহটি ইছামতি নদীতে ফেলে দেন ইয়াছিন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৯
এসআরএস/এইচএ/