এ ঘটনায় সোমবার (০৫ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত নৈশপ্রহরী উবায়দুল্লা।
উবায়দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, গত শনিবার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলের নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালনের জন্য বিদ্যালয়ে আসি।
উবায়দুল্লা আরও বলেন, আমি এ ঘটনাটি পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা আমাকে বলেছে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ জমা দিতে। আমার ওপরে অর্তকিত পুলিশি হামলায় আমি অনেকটা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেছি। আমি ভাল করে কানে শুনতে পাচ্ছি না। আমি এসআই জামিরুলের হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।
নৈশপ্রহরী উবায়দুল্লাহর চিকিৎসক নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ এবিএম মুছা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, প্রচণ্ড আঘাতে উবায়দুল্লাহর কানের পর্দা ফেটে গিয়েছে। বর্তমানে তার কানের চিকিৎসা চলছে।
এদিকে এসআই জামিরুল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি মিথ্যা। যদি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে তারা বিচার চেয়ে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে বিচার হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুস সামাদ আকন্দ বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি আমাকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। আমি অভিযোগ দিতে বলেছি পুলিশ সুপার বরাবর।
এ ব্যাপারে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ওই দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী আমার কাছে অভিযোগ করেছে। আমি পুরো ঘটনাটি তার কাছ থেকে শুনেছি। সে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
আরএ