সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ সালাহউদ্দিন আদালত তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে, সকালে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগে জেলা জজ কোর্টের আলোচিত নাজির আলমগীরকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গ্রেফতার করে।
আদালতে আলমগীর হোসেনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন- নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবিএম জাকারিয়া ও সিনিয়র আইনজীবী মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুনসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী। দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কাসেম।
অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়ে আলমগীর সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, গত ৩১ জুলাই দুদক নোয়াখালী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদকে অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়ার মাধ্যমে তিনি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। এতে দুদক কর্মকর্তা ক্ষুদ্ধ হয়ে তাকে আটক করেন এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দেন।
দুদক নোয়াখালী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ আলমগীরের অভিযোগ নাকচ করে জানান, কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমতি ছাড়া তাকে মামলা দেওয়া এবং গ্রেফতার করা সম্ভব নয়।
জানা যায়, নোয়াখালী জেলা জজ কোর্টের নাজির আলমগীর দাপ্তরিক পরিচয় গোপন করে নিজেকে রড, সিমেন্ট ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে প্রায় ৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও প্রায় ২৭ কোটি টাকা ব্যাংকে লেনদেন করেন। এসব কাজে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী নোয়াখালী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার নাজমুন নাহার।
দুদক নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত আলমগীরের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের ঘটনায় একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তার স্ত্রী নোয়াখালী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার নাজমুন নাহার, বোন আফরোজা আক্তার ও তার বন্ধু বিজন ভৌমিককেও আসামি করা হয়েছে।
দাপ্তরিক পরিচয় গোপন করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
আরএ