সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে ঈদের তৃতীয় দিনের (১৪ আগস্ট, বুধবার) টিকিট বিক্রি শুরু করা হয়। টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে স্টেশনের কাউন্টারে প্রত্যাশীদের তেমন ভিড় দেখা না গেলেও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, পর্যায়ক্রমে ৬, ৭, ৮ ও ৯ আগস্ট ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ আগস্টের পঞ্চগড় থেকে ঢাকার টিকিট দেওয়া হবে। টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার ইকবাল হোসেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মো. আলমগীর রহমানের উপস্থিতিতে টিকিট বিক্রি শুরু হয়।
আগাম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে পঞ্চগড় স্টেশন থেকে একতা এক্সপ্রেস এবং দ্রুতযান এক্সপ্রেসের বরাদ্দকৃত শোভন চেয়ার ৫০টি এবং এসি চেয়ার ২৫টি বিক্রি হয়। তবে এই আসনের মধ্যে ২৫টি করে শোভন চেয়ার এবং ১২টি এসি চেয়ারের টিকিট রেলওয়ের অ্যাপসের মাধ্যমে দেওয়া হয়। একইভাবে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের ২৩০টি শোভন চেয়ার এবং ২৪টি এসি চেয়ারের মধ্যে ১১৫টি শোভন চেয়ার এবং ১২টি এসি চেয়ার আসন অ্যাপসের মাধ্যমে দেওয়া হয়। বাকি টিকিট পর্যায়ক্রমে স্টেশন টিকিট কাউন্টার থেকে দেওয়া হয়।
পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. মোশারফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, টিকিটের কালোবাজারি ঠেকাতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে কোনো অপতৎপরতা রোধে স্টেশনে রেল পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশ টহল চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৮
এইচএ/