একই সঙ্গে, এডিস মশার প্রজনন স্থল, সম্ভাব্য প্রজনন স্থল এবং লার্ভা পাওয়ায় বিভিন্ন ভবন মালিক ও কর্তৃপক্ষকে প্রায় ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনে মশক নিধন কার্যক্রম এবং কীটনাশক অগ্রগতি সম্পর্কে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে এসব কথা জানানো হয়।
এসময় বিভিন্ন কার্যক্রম এবং পদক্ষেপ তুলে ধরে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন বলেন, মশক নিধন কার্যক্রম এবং নগরবাসীকে সচেতনতার উদ্দেশ্যে আমরা প্রায় দেড় লাখ লিফলেট বিতরণ করেছি। প্রায় এক লাখ ভবন, ৩২১ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এক হাজার ৭৭ টি নির্মাণাধীন ভবন, ১৫৫ টি মার্কেট ও কাঁচাবাজার, ১৭ টি হাসপাতাল এবং দু'টি বাস টার্মিনালে অভিযান করেছি। এসময় বিভিন্ন ভবনকে প্রায় ২৪ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। ৩৬৫ দিন কাজ করতে হবে, করবো। ডেঙ্গু প্রতিরোধে নতুন পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ার্ড পর্যায়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সেল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একজন করে উপ সচিব, এলজিইডি থেকে একজন করে সহকারী প্রকৌশলী, একজন করে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, আমাদের একজন করে কর্মকর্তাসহ মোট ৯ জন করে কর্মকর্তা এ সেলে আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মামুনুর রহমান মামুন, চিফ ভেক্টর কন্ট্রোল পরামর্শক ড. মঞ্জুর চৌধুরী, ভেক্টর কন্ট্রোল পরামর্শক এবং জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবিরুল বাসারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এসএইচএস/ওএইচ/